ঠিকানাঃ সিপাইপাড়া, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email:hsttiraj@yahoo.com
web:www.hstti.rajshahi.gov.bd ফোনঃ 0247-812327, 0721-775415
ভূমিকা
* শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৩ সালে দেশের বিভাগীয় অঞ্চলে ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়।
* মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি, শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের গুনগত মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে ADB এবং UNDP এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শীর্ষক প্রকল্প গৃহীত হয়। প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৫ সালে ০৫টি বিভাগে (ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল) ০৫টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট (HSTTI) স্থাপন করা হয় এবং ০১/০৭/১৯৯৯ খ্রি. ইনষ্টিটিউটসমূহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়।
* প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপর HSTTI সমূহের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও তত্বাবধায়নের দায়িত্ব রয়েছে।
অন্যান্য HSTTI এর মত রাজশাহী HSTTI তে বর্তমান অনুমোদিত পদ : ১ম শ্রেণির ০৯টি, ৩য় শ্রেণির ১৯টি ও ৪র্থ শ্রেণির ২২টি। পরিচালক সহ ১ম শ্রেণির শূন্য পদ সমূহে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রেষণে বদলীভিত্তিক পদায়ন করা হয়।
* রাজশাহী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট দেশের অন্যতম একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকগণের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রাথমিক কর্মসূচি নিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।
* ১৯৯৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়।
* ১৯৯৯ সালে প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাময়িকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
* গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটসমূহে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
* রাজশাহী শহরের কেন্দ্রস্থলে লক্ষীপুর এলাকায় টিটি কলেজ ক্যাম্পাসে HSTTI এর অবস্থান। একটি বর্গাকার ত্রিতল একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন, একটি পাঁচতলা হোষ্টেল ভবন ও একটি দ্বিতল রেস্ট হাউজ নিয়ে HSTTI এর অবকাঠামো গঠিত। এছাড়া পরিচালক মহোদয় এবং হোস্টেল সুপারের একটি করে সরকারি বাসভবন রয়েছে।
* এই প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত রাজস্ব বাজেটের আওতায় বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের অর্থাৎ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার বেসরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অধ্যক্ষবৃন্দের জন্য শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, একই পর্যায়ের শিক্ষকগণের শিক্ষাবিজ্ঞান ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
* এই প্রশিক্ষণসমূহ সরকারের রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
* এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বাজেটের আওতায় এবং বিভিন্ন প্রজেক্টের আওতায় বিভিন্ন সময় অন্যান্য প্রশিক্ষণও এই প্রতিষ্ঠানে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে LSBE, Digital Content Development, Autism, ICT Training for Science Teachers of Selected 1500 College ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
* TQI প্রজেক্টের আওতায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকগণের জন্য CPD (Continuous Professional Development), মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের এবং মাদ্রাসা সুপারগণের প্রফেশনাল লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স, স্কুলের সহকারী প্রধান, সহকারী সুপারগণের জন্য ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ কোর্সসহ লিডারশীপ ও ইন-সার্ভিস কোর্সের ফলো-আপ প্রশিক্ষণসমূহ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
* গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ ও ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনা ২১০০ এর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় পাঠদানকারী শেণি শিক্ষকগণকে সহায়তা করার জন্য প্রতিষ্ঠিান প্রধান ও সহকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের আইসিটি স্বাক্ষরতার প্রেক্ষিতে “আইসিটির মাধ্যমে মাধ্মিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন প্রকল্প (২য় পর্যায়)” এর মাধ্যমে দেশের ৩১৩৪০ টি (স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা) প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান ও সহকারী প্রতিষ্ঠিান প্রধানগণের ৬ দিনের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় HSTTI, Rajshahi এ পর্যন্ত ৬৫টি ব্যাচে মোট ১৯৫০ জন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রতিষ্ঠানগণের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
* মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন “শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্প বি.সি.এস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিষয়ভিত্তিক ডিজিটাল কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। ১৪টি ব্যাচে ৩০ জন করে মোট ৪২০ জন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
* বাংলাদেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণ একটি অবিরত কার্যক্রম এবং রাজশাহী HSTTI সফলতার সাথে সকল প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে আসছে এবং ভবিষ্যতে আরও সরকারি কর্মকর্তাদের বিবিধ প্রশিক্ষণ HSTTI গুলোতে অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যাশা ও সক্ষমতা রাখে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাগণের প্রত্যক্ষ সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
* ইনস্টিটিউটে দুধরণের বাজেটের প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়। যথাঃ
১। সরকারি অর্থায়নে রাজস্ব বাজেটে পরিচালিত বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষগণের শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ; বিষয় শিক্ষকগণের শিক্ষাবিজ্ঞান ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং কম্পিউটার বিষয়ক প্রশিক্ষণ
২। উন্নয়ন বাজেটের অধীনে বিভিন্ন ধরণের প্রজেক্টের প্রশিক্ষণ (স্কুল ও কলেজ পর্যায়)
প্রশিক্ষণসমূহেরলক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণে আগ্রহ ও জ্ঞানার্জন নির্ভর করে শিক্ষকের জ্ঞানের পরিধি, পাঠদানের দক্ষতা ও আধুনিক পদ্ধতির উপর।
- বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি অন্যতম বড় সমস্যা হলো অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের নিন্ম দক্ষতা ও গতানুগতিক শিক্ষক কেন্দ্রিক পাঠদান পদ্ধতি।
- এ বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে কলেজ শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ইনস্টিউটে পরিচালিত প্রশিক্ষণসমূহ
রাজস্ব বাজেটে পরিচালিত প্রশিক্ষণসমূহ
১। অধ্যক্ষকগণের “শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা” প্রশিক্ষণ কোর্স
মেয়াদঃ ২০ দিন
অনুষ্ঠিত ব্যাচ সংখ্যাঃ ২7
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যাঃ ৬17 জন
শিক্ষাপ্রশাসনওব্যবস্থাপনাবিষয়কপ্রশিক্ষণেরলক্ষ্যওউদ্দেশ্য
১। জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ বিকাশের মাধ্যমে দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগণের দ্বারা শিক্ষার গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধন;
২। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগতমানের উৎকর্ষ সাধন
৩। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে দক্ষ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা কাঠামো সৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণকে সক্ষম করে তোলা, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রচলিত ও সরকারি রীতিনীতি ও আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান
৪। দেশের শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ, বিশ্লেষণ ও সমাধানের সহজ পথ অন্বেষণ।
৫। কম্পিউটার বিষয়ক প্রাথমিক ধারণার মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তি গ্রহণের প্রতি উতসাহী করে তোলা।
৬। কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতার পরিবর্তন।
১। জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ বিকাশের মাধ্যমে দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগণের দ্বারা শিক্ষার গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধন;
২। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগতমানের উৎকর্ষ সাধন
৩। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে দক্ষ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা কাঠামো সৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণকে সক্ষম করে তোলা, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রচলিত ও সরকারি রীতিনীতি ও আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান
৪। দেশের শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ, বিশ্লেষণ ও সমাধানের সহজ পথ অন্বেষণ।
৫। কম্পিউটার বিষয়ক প্রাথমিক ধারণার মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তি গ্রহণের প্রতি উতসাহী করে তোলা।
৬। কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতার পরিবর্তন।
- বাংলাদেশের সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতের গুরুত্ব ও পরিধি ব্যপক ও তাৎপর্যপূর্ণ।
- এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে গৃহীত সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাহত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের সবকটি এইচ এস টিটি আইতে – উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান (অধ্যক্ষ) গণের ২০ দিন মেয়াদী শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
- এ ইনস্টিটিউটে ২7 টি ব্যাচে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নির্বাচিত ৬17 জন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান (অধ্যক্ষ) গণকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
২। কলেজ শিক্ষকগণের “শিক্ষাবিজ্ঞান ও বিষয়ভিত্তিক” প্রশিক্ষণ কোর্স
মেয়াদকালঃ ৪০ দিন
অনুষ্ঠিত ব্যাচ সংখ্যাঃ ১০১
প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যাঃ
শিক্ষাবিজ্ঞানওবিষয়ভিত্তিকপ্রশিক্ষণ কোর্সেরলক্ষ্যওউদ্দেশ্য
১। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষকগণের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের নবায়ন ও সুসংহতকরণ।
২। আধুনিক শিক্ষাবিজ্ঞান ও শিক্ষাদান পদ্ধতি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিষয়ে শিক্ষকগণকে উদ্বুদ্ধকরণ।
৩। পাঠদান সম্পর্কিত গতানুগতিক ধারণার পরিবর্তন ও আধুনিকীকরণ।
৪। পাঠদানকে প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে শ্রেণিকক্ষ্যে আধুনিক পাঠ সহায়ক উপকরণ ব্যভার সম্পর্কে শিক্ষকগণকে ধারণা প্রদান।
৫। শিক্ষকতা পেশা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কলেজ শিক্ষকগণকে অবহিতকরণ ও এ ক্ষেত্রে একশন রিসার্চ গবেষণাধর্মী কার্যক্রম গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ।
৬। সহশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা প্রদান।
৭। কর্মক্ষেত্রে দৃঢ় ব্যক্তিত্ব ও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে শিক্ষকগণের উৎসাহ প্রদান।
৮। নিজ পোশাকে অধিকতর বিজ্ঞানসম্মত ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কম্পিউটার বিষয়ে ধারণা ও ব্যবহার প্রেরণা প্রদান।
৩। কলেজ শিক্ষকদের “কম্পিউটার” বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স
মেয়াদকালঃ ২৭ দিন
অনুষ্ঠিত ব্যাচ সংখ্যাঃ ৮৫
প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যাঃ
- উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, রাজশাহী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকগণকের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
- এ যাবৎ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, রাজশাহীতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের 1638 জন শিক্ষক 83টি ব্যাচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে।
প্রতিষ্ঠানেরচ্যালেঞ্জসমূহ
- প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকা
প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই। টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ক্যাম্পাসে অবস্থিত হওয়ায় প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যা হয়।
- প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রবেশ দ্বার না থাকা
প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ক্যাম্পাসে অবস্থিত। তাই কলেজ তত্ত্বরে প্রবেশের গেইট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধীনে। এতে করে বিভিন্ন সময় বিশেষ করে রাতে এইস এস টিটি আই এর প্রশিক্ষণার্থিসহ অনেক অতিথিবৃন্দের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে অসুবিধা হয়।
- মূল গেটে প্রতিষ্ঠানের নামফলক না থাকা
যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ক্যাম্পাসে অবস্থিত তাই মূল গেটে প্রতিষ্ঠানটির কোনো নাম ফলক বা পরিচিতিমূলক কোনো সাইনবোর্ড নেই। এতে করে দূর দূরান্তের প্রশিক্ষণার্থীসহ অনেক গেস্ট স্পিকারগণের প্রতিষ্ঠানকে চিনতে বা শনাক্ত করতে অসুবিধা হয়। অনেক বার গেটে নাম ফলক বা পরিচিতিমূলক সাইনবোর্ড দিতে চাইলে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ বাধা সৃষ্টি করেছে।
- শ্রেণিকক্ষের সংকট
প্রতিষ্ঠানের একটিই মাত্র একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন এবং সেটা উত্তর ও পশ্চিম পার্শ্বে তিনতলা বিশিষ্ট এবং পূর্ব ও দক্ষিণ পার্শ্ব দুই তলাবিশিষ্ট মাত্র। ভবনের এই তলাগুলিতেই প্রশাসনিক কক্ষ, সকল প্রশিক্ষকগণের কক্ষ, অফিস কক্ষ, কর্মচারীগণের কক্ষ, হল রুম, লাইব্রেরী কক্ষসহ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ অবস্থিত। ভবনটি ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণসহ নতুন ভবন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্লাসরুমসহ অন্যান্য কক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি করলে প্রশিক্ষণ পরিচালনায় সুবিধা হয়।
- আধুনিক মানের চেয়ার টেবিল বা অন্যান্য আসবাবপত্রের সংকট
প্রতিষ্ঠাটিতে যে সকল আসবাবপত্র রয়েছে তা বেশিরভাগই পুরণো ও ব্যবহার অনুপযোগী। বিশেষ করে শ্রেণিকক্ষে প্রশিক্ষণার্থীগণের বসার চেয়ার। এছাড়া কম্পিউটার ল্যাবে প্রশিক্ষণার্থীগণের বসার আধুনিক মানের চেয়ার না থাকায় তাদের তাতে বসতে অসুবিধা হয়।
- আধুনিক ও উন্নত মানের কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জামের অভাবঃ
প্রতিষ্ঠানটিতে কম্পিউটার বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান সময়ে পাঠাদানের আধুনিক উপকরণ হিসেবে স্মার্ট বোর্ড একটি কার্যকরি উপাদান। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উপকরণ হিসেবে একটিও স্মার্ট বোর্ড নেই।
এছাড়া এখানে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যার তুলনায় কম্পিউটারের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল এবং যে স্বল্প সংখ্যাক রয়েছে সেগুলোও অনেক পুরণো ও অকার্যকর।
- অপ্রতুল বাজেট
প্রতিষ্ঠানটিতে রাজস্ব বাজেটে পরিচালিত প্রশিক্ষণ কোর্সের বাজেট বর্তমান সময়ের জন্য একেবারেই অপ্রতুল। এর দ্বারা মানসম্মত প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব।
- প্রশিক্ষণার্থী প্রাপ্তিতে সংকট
প্রশিক্ষণের ভাতা কম হওয়ায় এবং চিঠি প্রাপ্তির পর প্রশিক্ষণে না এলেও প্রশিক্ষণার্থীদের কোনো জবাবাদিহিতা না থাকায় প্রতিটি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিতির হার খুবই কম থাকে এবং পরবর্তীতে একটি মানসম্মত সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থী সংগ্রহ করতে প্রশিক্ষকদের ভীষণ বেগ পেতে হয়। এতে প্রশিক্ষণের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হয়।
- সময়মত ও হালনাগাদ প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল না পাওয়া
পরিবর্তিত আইন বিধি ও নিয়ম পদ্ধতি সম্বলিত হালনাগাদ ম্যানুয়াল অনেক সময় প্রশিক্ষণ শুরুর পরেও পাওয়া যায় না। যা প্রশিক্ষণ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করে। অধ্যক্ষগণের ম্যানুয়ালে কিছু কিছু বিধিবিধান স্পষ্ট করা নেই। যেমনঃ ছুটি বিধি, ভ্রমণ ভাতা বিধি ইত্যাদি সরকারীদের অনুরূপ তথ্য দেয়া আছে। বেসরকারী কলেজের শিক্ষকগণের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধান দেয়া নেই। এছাড়া ম্যানুয়ালে সমসাময়িক কিছু বিষয়, যেমনঃ ব্লেন্ডেড লার্নিং, 4IR, স্মার্ট বাংলাদেশ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যশিক্ষায় করোনা ভাইরাস সতর্কতা ও প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
- সরকারের বিভিন্ন প্রজেক্ট ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে HSTTI কে গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হিসেবে না রাখাঃ
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য HSTTI একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। অথচ অনেক সময় সরকারের বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রজেক্ট ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে HSTTI কে অনর্ভূক্ত করা হয় না। এর ফলে সরকারের বিভিন্ন শিক্ষামূলক উন্নয়ন সংক্তান্ত কর্মসূচি থেকে HSTTI বাদ পড়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ HSTTI সম্পর্কে বা এর কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত থাকেন না। এতে করে অনেক সময় সরকারের উন্নয়নমূলক অনেক কর্মসূচি থেকে HSTTI বাদ পড়ে যায়। এর ফলে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে HSTTI আধুনিক মান অর্জন করতে পারছে না এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে অনেক পিছিয়ে থাকছে।
আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু চ্যালেঞ্জ
- উদ্বোধনী ও সমাপনীতে একজন সম্মানীয় প্রধান অতিথির জন্য সম্মানীর পরিমাণ মাত্র ২০০০ টাকা । অন্য যে কোন প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির সম্মানী বেশি।
- উদ্বোধনী ও সমাপনীতে সভাপতির জন্য সম্মানী বরাদ্দ নেই। সভাপতির জন্য সম্মানীর ব্যবস্থা থাকা দরকার।
- উদ্বোধনী ও সমাপনীতে প্রশিক্ষণার্থীগণের নাস্তার জন্য মাত্র ২০/- টাকা বরাদ্ধ থাকে এবং ভ্যাট/ট্যাক্স কেটে ১৫ টাকার মধ্যে প্রশিক্ষণার্থিগণকে নাস্তা সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্রশিক্ষণার্থীগণ এতে খুব অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অন্যান্য দিনে নাস্তার বরাদ্দ না থাকায় প্রশিক্ষণার্থীগণ প্রশিক্ষণের প্রতি আগ্রহী হন না।
- প্রশিক্ষণ পরিচালনা কমিটির জন্যও অন্যান্য দিনের নাস্তার বরাদ্দ রাখা দরকার।
- নাস্তায় অল্প টাকা বরাদ্দ থাকার কারণে প্রধান অতিথিকে মান সম্মত নাস্তা সরবরাহ করা যায় না।
- প্রশিক্ষণকে চাকরির ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে ব্যবহার করার বাধ্যবকতা না থাকায় এবং অল্প সম্মানীর কারণে প্রশিক্ষণের চিঠি পাওয়ার পরেও চিঠিপ্রাপ্ত অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থীগণ প্রশিক্ষণে আসেন না। ফলে প্রশিক্ষণের কাংখিত লক্ষ্য পূরণ হয় না এবং অল্প প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে প্রশিক্ষণ করানোর জন্য সরকারের অর্থের অপচয় হয়।
- অপ্রতুল যাতায়াত ভাতার কারণে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার দূর দূরান্ত অঞ্চল থেকে রাজশাহীতে এসে প্রশিক্ষণার্থীগণ ট্রেনিং করতে আগ্রহী নন।
- অল্প অর্থে (পার হেড এক হাজার টাকা) প্রশিক্ষণার্থীগণের পিটির জন্য মানসম্মত কিট (জার্সি, ট্রাউজার, জুতা) সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।
- সম্মানী কম হওয়ার কারণে অধিবেশন পরিচালনার জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ অতিথি বক্তাগণ আসতে চান না।
- শিক্ষা সফরের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ (পার হেড ১২০০/- টাকা) দিয়ে বর্তমানে গাড়ি ভাড়া করে দূরবর্তী স্থানে শিক্ষা সফর করা দূরহ হয়ে পড়ে। ৪০ দিনের প্রশিক্ষণে ১ দিনের বদলে কম পক্ষে ৩ দিনের শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা থাকা দরকার এবং প্রশিক্ষণার্থীগণের শিক্ষা সফরের বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষকগণের জন্য টি এ, ডি এ বরাদ্দ রাখা দরকার।
- প্রশিক্ষণার্থীগণের জন্য বই ভাতা হিসেবে অল্প টাকা (পার হেড এক ৮০০ টাকা) বরাদ্দ থাকায় সে অর্থ দিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় বই ক্রয় করে দেওয়া সম্ভব হয় না।
- অল্প বরাদ্দ অর্থ দিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয় ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হয় না।
- হোস্টেলের জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ভাতা থেকে মাত্র ৩০/- টাকা হারে কর্তন করা হয় যা দিয়ে বর্তমান সময়ে হোস্টেল পরিচালনা করা এবং মাস্টার রোলের কর্মচারীদের বেতন প্রদানসহ করা দূরহ ব্যাপার। সুতরাং সিট রেন্ট বাড়ানোসহ হোস্টেল আধুনিকায়ন করা দরকার।
- ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণকে শিক্ষকগণের চাকরী স্থায়ীকরণ বা পদোন্নতি বা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির শর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হলে প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীগণের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
- ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষগণকে প্রশাসনিক পদে যোগদানের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং পেনশন প্রাপ্তির শর্ত হিসেবে এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হলে শতভাগ প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে।