বাংলা লিখার জন্য প্রথমে ২টি কাজ করতে হবে
১। সফটওয়ার পরিবর্তন করতে হবে
২। ফন্ট পরিবর্তন করতে হবে
সফটওয়ার পরিবর্তনের জন্য
1. ডেস্কটপের মনিটরের উপরের অভ্র সফটওয়ারের আইকনে English শব্দটির উপর ক্লিক করতে হবে। তখন English লিখা শব্দটি পরিবর্তন হয়ে “বাংলা” হবে। আবার বাংলা থেকে ইংরেজিতে পরিবর্তন করতে চাইলেও “বাংলা” লিখার উপরে ক্লিক করতে হবে। তখন লিখাটি পুনবায় “English”-এ পরিবর্তন হবে।
2. ফন্ট পরিবর্তনের জন্য Font Style বক্স থেকে NikoshBan select করতে হবে।
•Avro সফটওয়ারে ইংরেজি ২৬ টি অক্ষর দিয়েই বাংলা ৫০ টি অক্ষর লিখতে হয়।
• ৫০টি ছাড়াও আরো কিছু অক্ষর লিখতে হয়। যেমনঃ (রেফ), (ঋ-কার), (র-ফলা), ¨ (য-ফলা), ব-ফলা-যেমন- স্বভাব, স্বাধীন ইত্যাদি।
•Avro সফটওয়ারে লিখার ক্ষেত্রে ইংরেজি অক্ষরের উচ্চারণ অনুযায়ী বাংলা উচ্চারণ লিখতে হয়। এটা অনেকটা ইংরেজি অক্ষর দিয়ে বাংলা মেসেজ লিখার মতো। এতে ইংরেজি ফনেটিকস অনুযায়ী বাংলা উচ্চারণ হয়।
অভ্রতে অক্ষর বা বর্ণ লিখার নিয়ম
• যে সকল ইংরেজি অক্ষরের সাথে বাংলা অক্ষরের হুবহু মিল রয়েছে সে সকল ইংরেজি অক্ষর দিয়ে সরাসরি বাংলা অক্ষর লিখতে হয়। যেমন- k = ক, c = চ, j = জ, l = ল b = ব ইত্যাদি
• অল্পপ্রাণ বর্ণের ইংরেজি অক্ষরের সাথে h যোগ করলে মহাপ্রাণের বর্ণ হবে। যেমন- অল্পপ্রাণের অক্ষর ক, গ, চ, জ, ট, ড, ত, দ, প, ব
• মহাপ্রাণের বর্ণ – খ, ঘ, ছ, ঝ, ঠ, ঢ, থ, ধ, ফ, ভ
• অল্পপ্রাণের অক্ষরগুলির সাথে h যোগ করলেই মহাপ্রাণের অক্ষর হবে।
যেমন-
•kh = খ, gh = ঘ,
•ch = ছ, jh = ঝ,
•Th = ঠ, Dh = ঢ,
•th = ফ, dh = ধ,
•ph = d, bh = ভ (f = ফ, v = ভ – এভাবেও হবে)
•উচ্চারণ অনুযায়ী ইংরেজিতে যে সকল বর্ণের সংখ্যা ১টি কিন্তু বাংলায় ২টি সেক্ষেত্রে যে অক্ষরের উচ্চারণে অল্প টান, অল্প চাপ, অল্প সময়, অল্প বাতাস বের হয় সে অক্ষরটি ছোট হাতের হবে। আর যে অক্ষরের উচ্চারণে বেটি টান, বেশি চাপ, বেশি সময়, বেশি বাতাস বের হয় সেটি বড় হাতের অক্ষরে হবে। অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণের মতো।
•যেমন-
• ই = i, ঈ = I , উ = u, ঊ = U, ঐ = OI ,
ঔ = OU, অ = o, ও = O, ন = n , ণ = N.
• উচ্চারণ অনুযায়ী ইংরেজিতে যে সকল বর্ণ ১টি কিন্তু বাংলায় ৩টি সেক্ষেত্রে যে অক্ষরের উচ্চারণে অল্প টান, অল্প চাপ, অল্প সময়, অল্প বাতাস বের হয় সে অক্ষরটি ছোট হাতের হবে।
• যে অক্ষরের উচ্চারণে বেটি টান, বেশি চাপ, বেশি সময়, বেশি বাতাস বের হয় সেটি বড় হাতের অক্ষরে হবে।
• আর যেটির উচ্চারণে আরো বেশি টান, আরো বেশি সময়, আরো বেশি চাপ দিতে হয় সেটি লিখতে ২য়টির সাথে h যোগ করতে হবে। অর্থাৎ বড় হাতের অক্ষরের সাথে h যোগ করতে হবে।
• যেমন-
• s = স, S = শ, Sh = ষ,
• r = র, R = ড়, Rh = ঢ়
• তবে র বা r- এর আরো ব্যবহার রয়েছে –
(র-ফলা ), (রেফ), (ঋ-কার)
• consonant এর পরে r = যেমনঃ প্রথম = prothom
• rr = (রেফ), যেমনঃ কর্ম = korrmo
• rri = (ঋ-কার), যেমনঃ কৃপন = krripon
•ত-বর্গীয় বর্ণ এবং ট-বর্গীয় উচ্চারণ মূলত কাছাকাছি। অর্থাৎ অল্পপ্রাণ এবং মহাপ্রাণের মতো। ত-বর্গীয় বর্ণগুলো অল্পপ্রাণের মতো এবং ট-বর্গীয় বর্ণগুলো মহাপ্রাণের মতো। সুতরাং ত-বর্গীয় বর্ণগুলো লিখতে ইংরেজি হাতের অক্ষরে লিখতে হবে। এবং ট-বর্গীয় বর্ণগুলো লিখতে বড় হাতের অক্ষরে লিখতে হবে।
• যেমন-
• t = ত, th = থ d = দ dh = ধ, n = ন,
• T = ট, Th = ঠ, D = ড, Dh = ঢ, N = ণ।
• ঙ, ঞ, ং এর উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি। তাই এই অক্ষরগুলি ইংরেজি একই বর্ণ দিয়ে লিখতে হবে। কিন্তু ছোট হাত আর বড় হাতের অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে।
•যেমনঃ
• ং = ng, ঙ = Ng, ঞ = NG
• ¨ (য-ফলা) = y/z হবে
• ব-ফলা = w
• ৎ = t“ (accent key। esc button এর নিচের বাটন চাপতে হবে)
• ্ (হসন্ত লিখতে কমা দুইবার চাপতে হবে)
• যেমন- আল্লাহ্ – Allah
অভ্রতে শব্দ লিখার নিয়ম
• অভ্রতে প্রতিটি শব্দ লিখার সময় ইংরেজি নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে consonant লিখতে হবে। তারপরে vowel লিখতে হবে।
• যেমনঃ
• cini = চিনি, pe^pe^ = পেঁপেঁu, bel = বেল, hena = হেনা ইত্যাদি।
অভ্রতে কারচিহ্নবিহীন শব্দ লিখার নিয়ম
•বাংলা যে সকল শব্দে কার চিহ্ন নেই সে সসকল শব্দ লিখার সময় প্রতিটি consonant এরপর o লিখতে হবে। কারণ, স্বরবর্ণ ছাড়া ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারিত হতে পারে না এবং প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণ অ থাকে। avro -তে ছোট হাতের o দিয়ে অ বর্ণ লিখা হয়।
•তাই প্রতিটি consonant এরপরে ছোট হাতের o দিতে হবে। কারণ avro কী-বোর্ডে প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে হসন্ত যোগ করা থাকে। এই হসন্তযুক্ত বর্ণের সাথে অ যোগ করলেই সেটি পূর্ণ বর্ণে পরিণত হয়। তা না হলে অক্ষরগুলো একটা আরেকটার সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।
• যেমন- komol = কমল, dol = দল, fol = ফল, somoy = সময়, noyon = নয়ন ইত্যাদি।
অভ্রতে যুক্তবর্ণ লিখার নিয়ম
• যাবে যুক্তবর্ণ লিখার সময় consonant-গুলো পরপর লিখলেই যুক্ত হয়ে যাবে। কারণ যুক্তাক্ষরে একটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে আরেকটি ব্যঞ্জনবর্ণ যুক্ত করা হয়। এ জন্য অভ্র কী-বোর্ডে প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণে হসন্ত যোগ করা থাকে। এই হসন্তযুক্ত বর্ণের পর পরের consonant-টি চাপলেই একটি আরেকটির সাথে যুক্ত হয়ে যাবে। যেমন-
•পুষ্প = puShpo, স্কুল = skul, মুক্তা = mukta, গিন্নী = ginnI
কিছু জটিল শব্দ
• ব্রহ্মপুত্র, পরীক্ষা, বিজ্ঞান, কুজ্ঝটিকা, জ্বলোচ্ছ্বাস, স্বাগত-
•brohmoputro = ব্রহ্মপুত্র
•porIkkha = পরীক্ষা
•biggan = বিজ্ঞান
•kujjhwTika = কুজ্ঝটিকা
•jwolocchwas = জ্বলোচ্ছ্বাস
•swagoto = স্বাগত
লেখকঃ
মোছাঃ নাসিমা খাতুন
সহকারী পরিচালক
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, রাজশাহী